শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: জালালাবাদ সেনানিবাসে ৮টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার জালালাবাদ সেনানিবাসে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের অধীনে ১১ পদাতিক ব্রিগেডসহ ৯টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলন শেষে প্রধানমন্ত্রী নবগঠিত ১৭ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ ১১ পদাতিক ব্রিগেড সদর দপ্তরসহ মোট ৮টি স্থায়ী উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিভিশন সদর দপ্তর, ১৪ তলা ডিসিও’স বাসভবন, ১৪ তলা অন্যান্য পদবীর সৈনিকদের বাসভবন, অফিসার্স মেস, ২টি ইউনিটের পৃথক ব্যারাক ভবন, ২টি ইউনিটের আধুনিক ব্যারাকভবন সহ অন্যান্য স্থাপনা।
বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী সেনানিবাসে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ও ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন। পরে তার সম্মানে সেনাবাহিনীর একটি চৌকশ দল কুচকাওয়াজের মাধ্যমে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নতুন এ ব্রিগেড ও ইউনিট প্রতিষ্ঠা, সিলেট অঞ্চলের অবকাঠামো, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন প্রাণ সৃষ্টি করেছে। সিলেটে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের উন্নয়ন ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়েছে এবং সেনা সদস্যদের কাছে তাদের প্রত্যাশা বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নতুন এই ব্রিগেড ও ইউনিটগুলোর ‘বিক্রমশালী’ প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে এ ডিভিশনের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেনাবাহিনীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু উন্নত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ১৯৭৪ সালেই প্রতিরক্ষা নীতিতে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন জানিয়ে পিতার বক্তৃতা থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করেন শেখ হাসিনা।
ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আওতায় তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কার্যক্রমগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৪ সালে জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী ওই প্রতিরক্ষা নির্দেশনার আলোকেই আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি জ্ঞানভিত্তিক পেশাদার বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আমরা সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিটি সদস্যের নৈতিক ও মানসিক শক্তি এবং পেশাগত জ্ঞান বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছি।”
জালালাবাদ সেনানিবাসে ব্রিগেড পতাকা উত্তোলন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আয়োজনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সড়ক পরিবহন এবং সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল অব. তারিক আহমদ সিদ্দিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার (জেনারেল) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আনোয়ার হোসেন অন্যান্যরা।